শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩:০২ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
স্বেচ্ছায় যৌনকর্ম করা কী অপরাধ? মা দিবসে মায়েদের নিয়ে ইবি রোটার‍্যাক্ট ক্লাবের ক্রীড়া ও ফল উৎসব নারী শিশু আইনে মিথ্যা মামলায় জামিন ও মুক্তির উপায়! ইবিতে ‘প্লান্ট সাইন্স’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার  শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় করবে ইবি এবং তুরস্কের ইগদির বিশ্ববিদ্যালয় চেকের মামলায় সাফাই সাক্ষী বনাম আসামীর নির্দোষিতা! খোকসার জনগনের সাথে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল আখতার। খোকসার জনগনের সাথে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল আখতার। কুমারখালীতে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত। ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের নিকট দোষস্বীকারে সাক্ষ্যগত মূল্য বনাম বাস্তবতা!
রায়ে স্বস্তি – অ্যাটর্নি জেনারেল, দন্ডিতরা খালস পাবে- জয়নুল

রায়ে স্বস্তি – অ্যাটর্নি জেনারেল, দন্ডিতরা খালস পাবে- জয়নুল

স্টাফ রিপোর্টার: গত ১০অক্টোবর বহুল আলোচিত ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়। এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম  এবং বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম  বলেন এ রায়ে যাদের ফাঁসি হয়েছে তাতে আমরা স্বস্তি বোধ করছি কিন্তু আরো অনেকের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিলো কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখব।

অপরদিকে জয়নুল আবেদীন  আশা করেছেন আপিল করার পর দন্ডিতরা খালাস পাবেন।

মাহবুরেব  আলম আরো বলেন যে মামলাটি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিলো। আসামী সাজানো হয়েছিলো জজমিয়া নামক এক নিরপরাধ মানুষকে। মামলাটি আলোর মুখ দেখেছে শেষ পর্যন্ত। আপরাধীরা পেয়েছে শাস্তি।  এটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে সব থেকে বড় সার্থকতা।

তিনি আরো বলেন এটাকে কোন ভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বলা যায় না, এটা ছিলো একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এই কারনেই শেখ হাসিনা এবং তার দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের চিরতরে শেষ করে দেওয়ার জন্যই এই  হত্যাকান্ড পরিচালনা করা হয়েছিলো। এই মামলাটিতে প্রমান হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কতখানি ভয়ঙ্কর হতে পারে।

তিনি বলেন এখানে যাদের ফাঁসি হয়েছে, তাতে আমরা স্বস্তি অনুভব করছি। তবে আরও কারো কারো ফাঁসি দেওয়া উচিৎ ছিল কিনা তার জন্য রায়টা আমি খতিয়ে দেখবো। আগে রায়টা পড়ে দেখবো। যদি রায়ে উল্লেখ থাকে যে, তারেক রহমান মাস্টারমাইন্ড তাহলে অবশ্যই তার ফাঁসি দেওয়া উচিৎ ছিল।

এই দিকে ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের প্রসঙ্গে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে  জয়নুল আবেদীন বলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী  তারেক রহমানের নাম প্রাথমিক ভাবে সাক্ষ্যে বলেনি। ৪১০ দিন মুফতি হান্নানকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে কিন্তু একটি মামলায় ১৫ দিনের বেশি কাউকে রিমান্ডে নেওয়া যায় না। কিন্তু মুফতি হান্নানকে ৪১০ দিন রিমান্ডে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করে তারেক রহমানের নাম বলানো হয়েছে। এই ঘটনার সাথে তারেক রহমানের কোন সম্পৃক্ততা ছিলো না।

জয়নুল আবেদীন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী  তার সাক্ষীতে তারেক রহমানের নাম বললে বুঝতাম যে তারেক রহমানের  সম্পৃক্ততা  রয়েছে। কিন্তু অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আদালতে সাক্ষ্যে দিতে যাননি এবং তারেক রহমানের নামও বলেননি। তাই এই মামলায় তারেকের সাজা দেয়ার কিছু নাই

জয়নুল বলেন, এই মামলায় তারেক রহমানসহ যাদেরকে  দন্ড দেওয়া হয়েছে আমরা আশা করি আপিল করে তাদের সবাইকে খালাস করাতে সক্ষম হব।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel